ইংরেজি
দুটি শব্দ 'ইন্টেলিজেন্স কিউশেন্ট'
বা 'আইকিউ'-এর মানে
হচ্ছে বুদ্ধির মাপকাঠি নির্ণায়ক। বাংলায়
একে 'বুদ্ধাঙ্ক' বা 'বুদ্ধিমাত্রা'ও
বলা হয়। মূলত
এটা জার্মান শব্দ থেকে এসেছে। এমন
কোনো পরীক্ষা নেই যেখানে বুদ্ধিবৃত্তিক
প্রশ্ন থাকে না।
শর্ট কোশ্চেন, রিটেন কোশ্চেন কিংবা
ভাইভা, সর্বত্রই এই আইকিউর প্রচলন
বিপুলভাবে পরিলক্ষিত হয়। বিসিএসের
মতো কঠিন পরীক্ষাগুলোতেও অনেকে
এই আইকিউর জন্য পিছিয়ে
পড়েন। অথচ
তিনি রিটেন পরীক্ষায় ভালো
করেছেন এবং তার একাডেমিক
পরীক্ষার রেজাল্টও অনেক ভালো।
একজন মানুষের দু'রকম বয়স
থাকে, মেন্টাল এজ বা মানসিক
বয়স এবং ক্রনোলোকেল এজ
বা কালক্রমিক বয়স। দেখা
যায়, একজন মানুষের ৩০
বছর বয়স; কিন্তু তার
চিন্তা-ভাবনা অর্থাৎ বুদ্ধির
দৌড় ১৫ বছরের বালকের
মতো। আবার
অনেকে আছে বয়স কম;
কিন্তু কাজের ধরন দেখে
বোঝা যায় তার বয়স
আরও বেশি।
আইকিউ যে কারণে
আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি যে, আমাদের দেশের পড়ালেখা ব্যবস্থায় মানসিক দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য তেমন কোনো উদ্যোগ না থাকলেও বড় বড় চাকরির পরীক্ষাগুলোতে আইকিউ একটা কমন ব্যাপার। তাই পড়ালেখা শেষ করে একটি ছেলে বা মেয়েকে এ বিষয়ে প্রস্তুতির জন্য প্রচুর পড়াশোনা করতে হয়।
হ্যাঁ, এ কথা বাস্তব যে, মানসিক দক্ষতা কোনো বংশ পরম্পরার ব্যাপার নয়; নিয়মিত চর্চার কারণে মানুষের মানসিক দক্ষতা বৃদ্ধি হয়। আর এ কাজটা ছোটবেলা থেকে মানুষের মধ্যে তৈরি করে নিতে হয়। কেননা বিজ্ঞানীদের ধারণা, একটি ছেলে বা মেয়ের বয়স যখন ১৬ বছর হয়ে যায় তখন আর মানসিক বৃদ্ধি হয় না। সুতরাং এটি ছোটবেলা থেকেই বৃদ্ধির চেষ্টা করতে হয়।
এবার জানা দরকার, কেন আইকিউ দরকার? দরকার এই কারণে যে, বাস্তব জীবনে নানা সমস্যার মুখোমুখি আমাদের হতে হয়, যেখানে একাডেমিক পড়াশোনা খুব একটা কাজে লাগে না। নিজের বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হয়। এ জন্য বড় একটি পদে চাকরি পাওয়ার যোগ্যতা হিসেবে প্রত্যেক ব্যক্তিকেই বুদ্ধিমত্তার স্কেলে নিজেকে প্রমাণ করতে হয়, সে যেন প্রতিষ্ঠানের জন্য ভালো কিছু করতে পারে। সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
আইকিউ টেস্ট
আইকিউ মাপার বিভিন্ন বিজ্ঞানভিত্তিক ব্যবস্থা রয়েছে। অনলাইনেও নানা ওয়েবসাইট আছে, যেখানে আপনি আপনার আইকিউ টেস্ট করতে পারেন। ফলে বুঝতে পারবেন আপনার অবস্থান এবং এটা জানা খুবই জরুরি। কেন? কারণ ওপরে উল্লেখ করা হয়েছে। তো এবার জানা যাক কেমন আইকিউ?
বিসিএস বা এ রকম অন্যান্য বড় চাকরির এমসিকিউ, লিখিত এবং ভাইভা, এই তিনটি পরীক্ষাতেই মানসিক দক্ষতার প্রমাণ নেওয়া হয়। সুতরাং ভালো চাকরির জন্য আইকিউর ওপর ভালো দক্ষতা থাকা আবশ্যক। কিন্তু কেমন দক্ষতা? কতটা দক্ষতা? এ জন্য আপনি বিগত বছরের চাকরির প্রশ্নগুলো দেখতে পারেন। দেখতে পারেন মানসিক দক্ষতার বিভিন্ন বই। ঢাকার নীলক্ষেতে এমন অনেক বই পাবেন।
সাধারণত আপনার উপস্থিত বুদ্ধি, কোনো একটা ব্যাপার গ্রহণ করার অ্যাবিলিটি ইত্যাদি ব্যাপার আইকিউর মাধ্যমে বোঝার চেষ্টা করা হয়। সাধারণ জ্ঞান, মনে রাখার কৌশল ইত্যাদিও মানসিক দক্ষতার ওপর নির্ভর করে। দেখা যায়, অনেকে পড়াশোনা করেন অনেক বেশি; কিন্তু মনে রাখার ক্ষমতা খুবই কম। আবার অনেকে পড়াশোনা অনেক কম করেও পরীক্ষায় খুব ভালো করেন। এর একমাত্র কারণ হলো, ভালো করছে তার মানসিক শক্তি, মানসিক দক্ষতা বেশি।
সুতরাং উপস্থিত বুদ্ধি, দ্রুত কাজ করার ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য বাস্তব অভিজ্ঞতাভিত্তিক কাজ করা দরকার। বাস্তব জীবনের নানা ঘাত-প্রতিঘাতের সঙ্গে পরিচয় হওয়া দরকার। যেগুলো আপনাকে মানসিক শক্তি এবং দক্ষতা বাড়াতে সহায়তা করবে।
একটি উদাহরণ দেখুন : প্রশ্ন থাকে এ রকম_ ১ ... ৪ ... ১৮ ... ৩২৬ ... ? বলতে পারবেন এ প্রশ্নবোধক স্থানে কত হবে? কীভাবে এ ক্রমটা করা হয়েছে? যদিও এটা খুবই সাধারণ একটা মানসিক প্রশ্ন। এখানে ক্রমটা করা হয়েছে এভাবে_ প্রথম সংখ্যাটার সঙ্গে ওই সংখ্যাটাই গুণ করে সঙ্গে ২ যোগ করে পরবর্তী সংখ্যাটা নির্ণয় করা হয়েছে। এবার হিসাব করলেই দেখবেন প্রশ্নবোধক স্থানে আপনি সঠিক উত্তর বসাতে পারছেন। কিন্তু এ কাজের জন্য আপনি খুবই কম সময় পাচ্ছেন। যা আপনাকে বের করতে হবে খুব দ্রুত ভেবে। আর এটাই হলো আইকিউর মূল ব্যাপার, যা করার খুব দ্রুত করতে হবে।
যেভাবে বাড়াবেন
আপনি ইচ্ছা করলে আপনার আইকিউ ধীরে ধীরে বাড়াতে পারেন। এ জন্য সঠিক নিয়মে চর্চা করে যেতে হবে। কিন্তু সঠিক নিয়মটা কী? আর কোথায় এবং কীভাবেইবা চর্চা করবেন? শুরু করুন খুব সিম্পলভাবে। বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকার প্রতিদিনের আয়োজনে [যেমন_ সমকালে আছে 'সারাবেলা'] থাকে এমন আইকিউর ব্যাপার। সেখান থেকে চর্চা শুরু করুন। অনলাইনে অনেক ওয়েবসাইট আছে। যেমন এখানে আপনি নিয়মিত চর্চা করতে পারেন। এ রকম আরও অনেক ওয়েবসাইট পাবেন। মানসিক দক্ষতার বই আছে। চাকরি বিষয়ক পত্রিকা আছে। নিজের মনে মনে অনেক কাজ করার চেষ্টা করবেন। যেমন মনে মনে ভেবে বের করুন আপনি সর্বোচ্চ কত সংখ্যার দুটি অঙ্ক যোগ করতে পারেন কোনোরকম ক্যালকুলেটর ছাড়া? আরও ভাবুন নানা বিষয় নিয়ে।
বর্তমান সময়ে এ আইকিউ বা মানসিক দক্ষতা খুবই একটা প্রয়োজনীয় বিষয়। সঠিক নিয়মে চর্চা করে প্রতিনিয়ত এর পরিব্যাপ্তি বৃদ্ধি করা উচিত। কারণ এটা ছাড়া আপনি চাকরির বাজারে কিছুতেই ভালো করতে পারবেন না। সুতরাং যেহেতু এটা অবশ্যই দরকার তাহলে আর এর থেকে কেন দূরে থাকবেন? শুরু করুন চর্চা আজ থেকে এবং এখন থেকেই। যেন কিছুতেই এর জন্য পিছিয়ে না পড়েন! কিছুতেই যেন শুধু এই কারণে একটা ভালো চাকরি থেকে আপনি বাদ না যান। জীবন হোক সুন্দর। শুভ কামনা। সূত্র: সমকাল
আইকিউ যে কারণে
আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি যে, আমাদের দেশের পড়ালেখা ব্যবস্থায় মানসিক দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য তেমন কোনো উদ্যোগ না থাকলেও বড় বড় চাকরির পরীক্ষাগুলোতে আইকিউ একটা কমন ব্যাপার। তাই পড়ালেখা শেষ করে একটি ছেলে বা মেয়েকে এ বিষয়ে প্রস্তুতির জন্য প্রচুর পড়াশোনা করতে হয়।
হ্যাঁ, এ কথা বাস্তব যে, মানসিক দক্ষতা কোনো বংশ পরম্পরার ব্যাপার নয়; নিয়মিত চর্চার কারণে মানুষের মানসিক দক্ষতা বৃদ্ধি হয়। আর এ কাজটা ছোটবেলা থেকে মানুষের মধ্যে তৈরি করে নিতে হয়। কেননা বিজ্ঞানীদের ধারণা, একটি ছেলে বা মেয়ের বয়স যখন ১৬ বছর হয়ে যায় তখন আর মানসিক বৃদ্ধি হয় না। সুতরাং এটি ছোটবেলা থেকেই বৃদ্ধির চেষ্টা করতে হয়।
এবার জানা দরকার, কেন আইকিউ দরকার? দরকার এই কারণে যে, বাস্তব জীবনে নানা সমস্যার মুখোমুখি আমাদের হতে হয়, যেখানে একাডেমিক পড়াশোনা খুব একটা কাজে লাগে না। নিজের বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হয়। এ জন্য বড় একটি পদে চাকরি পাওয়ার যোগ্যতা হিসেবে প্রত্যেক ব্যক্তিকেই বুদ্ধিমত্তার স্কেলে নিজেকে প্রমাণ করতে হয়, সে যেন প্রতিষ্ঠানের জন্য ভালো কিছু করতে পারে। সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
আইকিউ টেস্ট
আইকিউ মাপার বিভিন্ন বিজ্ঞানভিত্তিক ব্যবস্থা রয়েছে। অনলাইনেও নানা ওয়েবসাইট আছে, যেখানে আপনি আপনার আইকিউ টেস্ট করতে পারেন। ফলে বুঝতে পারবেন আপনার অবস্থান এবং এটা জানা খুবই জরুরি। কেন? কারণ ওপরে উল্লেখ করা হয়েছে। তো এবার জানা যাক কেমন আইকিউ?
বিসিএস বা এ রকম অন্যান্য বড় চাকরির এমসিকিউ, লিখিত এবং ভাইভা, এই তিনটি পরীক্ষাতেই মানসিক দক্ষতার প্রমাণ নেওয়া হয়। সুতরাং ভালো চাকরির জন্য আইকিউর ওপর ভালো দক্ষতা থাকা আবশ্যক। কিন্তু কেমন দক্ষতা? কতটা দক্ষতা? এ জন্য আপনি বিগত বছরের চাকরির প্রশ্নগুলো দেখতে পারেন। দেখতে পারেন মানসিক দক্ষতার বিভিন্ন বই। ঢাকার নীলক্ষেতে এমন অনেক বই পাবেন।
সাধারণত আপনার উপস্থিত বুদ্ধি, কোনো একটা ব্যাপার গ্রহণ করার অ্যাবিলিটি ইত্যাদি ব্যাপার আইকিউর মাধ্যমে বোঝার চেষ্টা করা হয়। সাধারণ জ্ঞান, মনে রাখার কৌশল ইত্যাদিও মানসিক দক্ষতার ওপর নির্ভর করে। দেখা যায়, অনেকে পড়াশোনা করেন অনেক বেশি; কিন্তু মনে রাখার ক্ষমতা খুবই কম। আবার অনেকে পড়াশোনা অনেক কম করেও পরীক্ষায় খুব ভালো করেন। এর একমাত্র কারণ হলো, ভালো করছে তার মানসিক শক্তি, মানসিক দক্ষতা বেশি।
সুতরাং উপস্থিত বুদ্ধি, দ্রুত কাজ করার ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য বাস্তব অভিজ্ঞতাভিত্তিক কাজ করা দরকার। বাস্তব জীবনের নানা ঘাত-প্রতিঘাতের সঙ্গে পরিচয় হওয়া দরকার। যেগুলো আপনাকে মানসিক শক্তি এবং দক্ষতা বাড়াতে সহায়তা করবে।
একটি উদাহরণ দেখুন : প্রশ্ন থাকে এ রকম_ ১ ... ৪ ... ১৮ ... ৩২৬ ... ? বলতে পারবেন এ প্রশ্নবোধক স্থানে কত হবে? কীভাবে এ ক্রমটা করা হয়েছে? যদিও এটা খুবই সাধারণ একটা মানসিক প্রশ্ন। এখানে ক্রমটা করা হয়েছে এভাবে_ প্রথম সংখ্যাটার সঙ্গে ওই সংখ্যাটাই গুণ করে সঙ্গে ২ যোগ করে পরবর্তী সংখ্যাটা নির্ণয় করা হয়েছে। এবার হিসাব করলেই দেখবেন প্রশ্নবোধক স্থানে আপনি সঠিক উত্তর বসাতে পারছেন। কিন্তু এ কাজের জন্য আপনি খুবই কম সময় পাচ্ছেন। যা আপনাকে বের করতে হবে খুব দ্রুত ভেবে। আর এটাই হলো আইকিউর মূল ব্যাপার, যা করার খুব দ্রুত করতে হবে।
যেভাবে বাড়াবেন
আপনি ইচ্ছা করলে আপনার আইকিউ ধীরে ধীরে বাড়াতে পারেন। এ জন্য সঠিক নিয়মে চর্চা করে যেতে হবে। কিন্তু সঠিক নিয়মটা কী? আর কোথায় এবং কীভাবেইবা চর্চা করবেন? শুরু করুন খুব সিম্পলভাবে। বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকার প্রতিদিনের আয়োজনে [যেমন_ সমকালে আছে 'সারাবেলা'] থাকে এমন আইকিউর ব্যাপার। সেখান থেকে চর্চা শুরু করুন। অনলাইনে অনেক ওয়েবসাইট আছে। যেমন এখানে আপনি নিয়মিত চর্চা করতে পারেন। এ রকম আরও অনেক ওয়েবসাইট পাবেন। মানসিক দক্ষতার বই আছে। চাকরি বিষয়ক পত্রিকা আছে। নিজের মনে মনে অনেক কাজ করার চেষ্টা করবেন। যেমন মনে মনে ভেবে বের করুন আপনি সর্বোচ্চ কত সংখ্যার দুটি অঙ্ক যোগ করতে পারেন কোনোরকম ক্যালকুলেটর ছাড়া? আরও ভাবুন নানা বিষয় নিয়ে।
বর্তমান সময়ে এ আইকিউ বা মানসিক দক্ষতা খুবই একটা প্রয়োজনীয় বিষয়। সঠিক নিয়মে চর্চা করে প্রতিনিয়ত এর পরিব্যাপ্তি বৃদ্ধি করা উচিত। কারণ এটা ছাড়া আপনি চাকরির বাজারে কিছুতেই ভালো করতে পারবেন না। সুতরাং যেহেতু এটা অবশ্যই দরকার তাহলে আর এর থেকে কেন দূরে থাকবেন? শুরু করুন চর্চা আজ থেকে এবং এখন থেকেই। যেন কিছুতেই এর জন্য পিছিয়ে না পড়েন! কিছুতেই যেন শুধু এই কারণে একটা ভালো চাকরি থেকে আপনি বাদ না যান। জীবন হোক সুন্দর। শুভ কামনা। সূত্র: সমকাল