চাকরি পাওয়ার পরে যেসব বিষয়ে মনোযোগী হতে হবে - ক্যারিয়ার টিপস

Breaking

ক্যারিয়ার টিপস

ক্যারিয়ারে সফলতার জন্য সিভি লিখন, ভাইভা টিপস ও চাকুরীর খবর

Post Top Ad

চাকরি পাওয়ার পরে যেসব বিষয়ে মনোযোগী হতে হবে

নতুন চাকরি পেয়েছেন মাত্র ক'দিন হলো। এরই মধ্যে আত্মীয়-স্বজনের বাসায় মিস্টি পাঠানো আর বন্ধুদের নিয়ে ফাস্টফুডের দোকানে ঢুঁ মারার কর্মটি শেষ করে ফেলেছেন। কিন্তু অফিসে গিয়ে কী করবেন না করবেন, সেটা তো অজানাই থেকে গেছে। এখানে নতুন চাকরিজীবীদের জন্য কিছু টিপস দেওয়া হলো।

1. প্রথমেই সবার মনে আপনার সম্পর্কে একটি ভালো ধারণা গড়ে তুলতে হবে। এজন্য সবাইকে তার প্রাপ্য সম্মানটুকু দিতে হবে। মনে রাখতে হবে আপনার সাথে যারা কাজ করছেন তারাও কিন্তু স্ব স্ব ক্ষেত্রে তাদের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েই কাজে যোগ দিয়েছেন এবং তাদেরও উচ্চতর ডিগ্রি বা দীর্ঘদিন কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে পারে। আপনার কাজ এবং উপস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য যদি পর্যবেক্ষক হিসেবে কেউ নাও থাকে তবুও এ বিষয়ে সচেতন হোন।

2. অফিসে দেরি করে আসা, লাঞ্চে গিয়ে বেশি সময় কাটানো বা অফিস সময় শেষ হবার আগেই চলে যাওয়ার মতো অভ্যাসগুলো যদি প্রথম থেকেই আপনার মধ্যে চলে আসে তাহলে আখেরে কিন্তু আপনার লাভের চাইতে ক্ষতির সম্ভাবনাই বেশি। মনে রাখবেন আপনি নিজেকে যতই স্বাধীন ভাবুন না কেন, আপনার আচরণের দিকে কিন্তু সবাই লক্ষ রাখছে।

3. ভালো কাজ করার একটি বড় শর্ত হচ্ছে ভালো কাজ শেখা। এ কারণে আপনার শেখার দরজা কখনই বন্ধ করে দেবেন না। অফিসের 'নর্ম অ্যান্ড কালচার'গুলোও শিখতে চেষ্টা করুন। মনে রাখবেন, যেকোনো অফিসই কিন্তু তাদের মানসিকতার সাথে মানানসই লোককে খুঁজে বেড়ায়। তাই আপনার অফিসের কাজের ধারাটিই আয়ত্ত্ব করার চেষ্টা করুন। আর যদি তাতে পরিবর্তন আনতে চান, তাহলে সেই অনুযায়ী নিজের অবস্থানটি আগে গড়তে হবে।

4. নতুন চাকরির শুরুতে কথাবার্তাতেও আপনাকে কিছুটা কেউকেটা হতে হবে। অর্থাত্ খুব বেশি কথা না বললেও সঠিক কথাটি কীভাবে সঠিক জায়গায় বলা যায় সে বিষয়টি আপনাকে শিখে নিতে হবে। আর বাইরের কোনো পরিবেশে যখন আপনি আপনার অফিসের প্রতিনিধি হিসেবে যাবেন তখন এটা মনে রাখবেন যে আপনার কথা বলার ধরণটি শুধু আপনার ব্যক্তিত্বের বিজ্ঞাপনই নয়, একইসাথে এটি আপনার অফিসকেও রিপ্রেজেন্ট করে।

5. বড় বড় বিষয়ের প্রতি খেয়াল রাখতে গিয়ে অনেক তুচ্ছ বিষয় চোখ এড়িয়ে যেতে পারে। আপনার ক্ষেত্রে যেন এমনটি না ঘটে, সেদিকে খেয়াল রাখুন। যেকোনো অফিসিয়াল ডক্যুমেন্ট বা ই-মেইলের ক্ষেত্রে বানান এবং অন্যান্য ছোটোখাটো তথ্যগত ভুলগুলো ভালো করে পরীক্ষা করে তারপর তা উপস্থাপন করুন।

6. অনাবশ্যক প্রশ্ন পরিহার করুন। যেসব প্রশ্ন আপনার তাত্ক্ষণিক কাজের জন্য জরুরি নয়, সেসব প্রশ্ন কোনো একটি স্থানে টুকে রাখুন। পরে সুবিধাজনক সময়ে এগুলোর উত্তর জেনে নিন।

7. অন্যদের কাজের দিকে নজর দেওয়ার চাইতে প্রথমে নিজের কাজের প্রতিই বেশি মনোযোগী হোন। নিজের কাজে শতভাগ দক্ষ হয়ে উঠার চেষ্টা করুন।

8. অফিস সবসময়ই টিমওয়ার্কের জায়গা। তাই টিমের সাথে কাজ করার জন্য নিজেকে গড়ে তুলুন। এর জন্য প্রয়োজনীয় বৈশিষ্ট্যগুলো আত্মস্থ করুন।

9. অফিসের পরিবেশের সাথে আপাত সম্পর্কহীন মনে হলেও আপনার ব্যক্তিগত জীবনটিকেও গোছানো রাখার চেষ্টা করুন। কারণ ব্যক্তিগত কোনো কারণে যদি আপনি মানসিকভাবে অস্থির হয়ে থাকেন, তার প্রভাব আপনার অফিসের কাজেও পড়তে বাধ্য।

সফল যারা কেমন তারা