অনেকের স্বপ্ন বড় একজন ব্যংকার হওয়ার। আবার অনেকেই স্বপ্ন দেখেন সফল একজন
উদ্যোক্তা হওয়ার। দুটো প্রশ্ন রাখতে পারি পাঠকদের সামনে-
এক. যে কোনো একটা
চাকরি পাওয়াই কি শেষ কথা? এবং
দুই. মাস শেষে কিছু টাকা হাতে পাওয়াই কি সব?
দুটো প্রশ্নের উত্তরই হবে না। কারণ আশপাশে তাকালেই দেখা যাবে অনেকে
পদার্থবিজ্ঞান থেকে পড়ালেখা শেষ করে হচ্ছেন ক্রিয়েটিভ রাইটার! ডাক্তারি পাস
করে অনেকে হতে চান রাঁধুনি। এসবই তো বাস্তব জীবনের গল্প থেকে বলা। তবে সব
ছাত্র এবং চুড়ান্ত প্রতিযোগিতা মূলক এই চাকরির বাজারে ভালো এবং পছন্দসই
একটা চাকরি জোগাড় করতে হিমশিম খেয়ে যাচ্ছেন যারা, তাদের সবার জন্য খুবই
প্রয়োজনীয় কিছু ‘ক্যারিয়ার টিপস’।
টিপস-১:
টিপস-১:
চাকরির বাজারে যে কোনো চাকরির জন্য অস্থির হয়ে উঠবেন না। স্নাতক পাস করা
ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে দ্রুত চাকরি পাওয়ার একটা প্রবণতা দেখা দেয় এবং তারা
মানসিক চাপের মধ্যে থাকে, কারণ তাদের বন্ধুবান্ধব চাকরি পেয়ে যাচ্ছে,
কিন্তু তারা পাচ্ছেন না। যে কারণে তারা নিজেদের পারদর্শী না করে যে কোনো
চাকরির ক্ষেত্রেই আবেদন করতে থাকেন। তাদের উচিত নিজেদের পড়ালেখার বিষয়ের
ওপর জোর দিয়ে চাকরি খোঁজা।
টিপস-২:
স্নাতক পাস করার আগে থেকেই নিজেকে
কিছু এক্সট্রা কারিকুলাম কার্যক্রমের সাথে জড়িত রাখা উচিত। যা কিনা
পরবর্তীতে নেতৃত্বদানে এবং ইন্টারপারসোনাল দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করে।
ছাত্রছাত্রীদের বিভিন্ন ধরনের ক্লাব, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, বিভিন্ন ধরনের
ইভেন্ট সংগঠন করার মতো কাজে জড়িত থাকা উচিত। এতে করে তারা যখন ইন্টারভিউয়ের
সম্মুখীন হবেন, তারা তাদের কাজের অভিজ্ঞতা বলতে পারবেন যে, তারা শুধু
পড়ালেখা নিয়েই পড়ে থাকেননি, বরং তারা কাজের সাথে জড়িত ছিলেন এবং তারা সেই
কাজগুলো জানেন।
টিপস-৩:
গতানুগতিক এবং অস্পষ্ট ক্যারিয়ার অবজেটিভ না
লিখে, একদম গোছানো এবং পরিষ্কার একটি ক্যারিয়ার অবজেকটিভ লিখতে হবে।
ছাত্রদের উচিত তার জীবনবৃত্তান্তে উল্লেখ করা তাদের পছন্দসই ক্ষেত্রে সে
চাকরি করতে আগ্রহী।
টিপস-৪:
যোগাযোগ দক্ষতা বাড়াতে হবে এবং ইংলিশে তুখোড় হতে হবে। সব ছাত্রছাত্রীর উচিত অন্য ভাষায় কথা বলাতে দক্ষ হওয়া।
টিপস-৫:
একটি ভালো সিজিপিএ। প্রথম চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে ভালো রেজাল্ট সবসময়ই অগ্রাধিকার পায়।
টিপস-৬:
কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স সম্পর্কে সবসময় জানতে হবে। সাধারণ জ্ঞান, ইতিহাস,
আন্তর্জাতিক রাজনীতি, বিভিন্ন দেশের এবং সংস্কৃতির মানুষ সম্পর্কে জানতে
হবে।
টিপস-৭:
একটি দারুণ নেটওয়ার্ক তৈরি করতে হবে। চাকরির ক্ষেত্রে
প্রভাব এবং প্রতিপত্তি সম্পন্ন মানুষের সাথে ভালো যোগাযোগ থাকলে,
সেক্ষেত্রে একটি ভালো চাকরি পাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়।
টিপস-৮:
টিপস-৮:
ক্যারিয়ারের
রাস্তা সম্পর্কে একটা পরিষ্কার লক্ষ্য রাখতে হবে। অনেক ছাত্রছাত্রী আছেন,
স্নাতক পাস করার পর বুঝতে পারেন না যে, এখন তিনি কী করবেন। এর মধ্যে বহু
ছাত্রছাত্রী শুধু ট্রেন্ডকে অনুসরণ করে থাকেন। আমি সবসময় বিশ্বাস করি,
আপনার এমন কিছু করা উচিত যেটা নিয়ে আপনার স্বপ্ন আছে। তাই শুধু একটা চাকরি
খোঁজার আগে, নিজের ক্যারিয়ার খুঁজুন।
টিপস-৯:
ফেসবুক এবং বিভিন্ন
ধরনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এই সময়ে এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া খুব কঠিন,
যিনি কিনা কম থাকেন এই ভার্চুয়াল জগতে। বইপড়ার সুঅভ্যাস যে কাউকে বুদ্ধিমান
এবং জ্ঞানী হতে সাহায্য করে। যার বিভিন্ন বিষয়ে আগ্রহ থাকে, তিনি যে কারো
সাথেই দারুণ কথোপকথনে অংশগ্রহণ করতে পারেন।
তাই, ক্যারিয়ার নির্বাচন করুন বুঝেশুনে আর ছাত্রাবস্থা থেকেই মনোযোগী হয়ে উঠুন নিজের ক্যারিয়ার অন্বেষণে!