ভাইভা বোর্ডে সফলতার ১০টি টিপস - ক্যারিয়ার টিপস

Breaking

ক্যারিয়ার টিপস

ক্যারিয়ারে সফলতার জন্য সিভি লিখন, ভাইভা টিপস ও চাকুরীর খবর

Post Top Ad

ভাইভা বোর্ডে সফলতার ১০টি টিপস

একটি সফল ইন্টারভিউ হলো একজন চাকরি প্রার্থীর জীবনের সফলতার জন্য অপরিহায একটি অধ্যায় । তাই ভাইভা চলাকালীন সময় প্রার্থীকে অবশ্যই কিছু বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়, যাতে ভাইভাটি সবদিক থেকে সাফল্য মন্ডিত হয়। নিজেকে যথা সম্ভব সংযত রেখে ধীরস্থির ভাবে প্রশ্নকর্তার উখ্খাপিত সমস্যার সমাধান দিতে হবে । নিজেকে প্রকাশ করতে হবে সাবলীলভাবে । ভাইভা বোর্ডে প্রবেশ, বসা, বেরোনো ও উত্তর দেওয়ার সময় প্রার্থীর আচরণ ও কথোপকথন দ্বারা নির্ধারিত হয় প্রার্থীর সফলতা বা ব্যর্থতা । নাটক বা যাত্রার শিল্পীরা মাসের পর মাস ধরে নাটক যাত্রার অনুশীলন করে শুধুমাত্র একদিন নাটক বা যাত্রাটি দর্শকদের সামনে উপস্থাপনের জন্য । সামনে নিজেকে উপস্থাপনের জন্য আপনার প্রস্তুতি কতটা নিখুঁত বা কতটা পূর্ব প্রস্তুতিমূলক? এখানে ভাইভা বোর্ডে অবশ্য পালনীয় গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় তুলে ধরা হলো যা একজন চাকরি প্রার্থীর সফলতার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ।

 
১) অনুমতি নিয়ে কক্ষে প্রবেশ করে সালাম জানাতে হবে । পরীক্ষকগণ বসতে বললে বসতে হবে এবং বসতে না বললে একটু অপেক্ষা করে অনুমতি নিয়ে বসতে হবে । অনুমতি ব্যতিত বসা যাবে না । বসার সঙ্গে সঙ্গে ধন্যবাদ জানাতে হবে। সোজা হয়ে বসুন, পায়ের উপর পা তুলে অথবা পা দুটো আড়াআড়ি করে বসা যাবে না । হাত দুটো টেবিলের উপরে রাখা যাবে না । ভাইভা যারা নিবেন তাদের দিকে সোজাসুজি তাকান, মাটির দিকে বা ঘরের কোণ বা ছাদের দিকে তাকাবেন না ।

২) নিজেকে স্পষ্টভাবে প্রকাশ করুন । আত্মবিশ্বাসের সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করুন ।

৩) একজন প্রশ্নকর্তার প্রশ্নের উত্তর দেয়ার সময় অন্যদের দিকে তাকাতেও ভুলবেন না । অতি সুকৌশলে নিজের বুদ্ধিমত্তা এবং উত্তম গুনাবলী ও জ্ঞানে পরিধি সম্পর্কে পরীক্ষকগণকে ধারণা প্রদানের চেষ্ট করুন ।

৪) মনোযোগ দিয়ে প্রথমে প্রশ্নটি শুনুন ও বোঝার চেষ্টা করুন । প্রথমবারে যদি প্রশ্নটি বুঝতে না পারেন তবে অত্যন্ত বিনয়ের সাথে আর একবার প্রশ্নটি করতে বলুন ।

৫) উত্তর দেয়ার সময় প্রত্যেকটি শব্দ স্পষ্ট করে এমনভাবে উচ্চারণ করুন যেন সবাই শুনতে পায় এবং খেয়াল রাখুন উত্তরের সাথে যেন আপনার আত্মবিশ্বাস প্রতিফলিত হয় । সময় নষ্ট না করে উত্তর দিন ।জানা না থাকলে কালক্ষেপণ না করে দ্রুত বলুন, দুঃখিত আমার জানা নেই । অগোছালো ভাবে এদিক সেদিক না ঘুরিয়ে সাথে বক্তব্যকে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে হবে।

৬) আচরণ কোন প্রকার জড়তা রাখা যাবে না । গোমরা মুখে থাকবেন না । নিজেকে হাসি হাসি মুখ করে রাখুন । ভাইভা যারা নিচ্ছেন তাদের সঙ্গে ভুলেও (যদি ঐ প্রতিষ্ঠানে চাকরি করার ইচ্ছে থাকে) তর্কে জড়িয়ে পড়বেন না । নিয়োগকর্তার বিরুদ্ধে মত জানানোর আগে বিনয়ের সাথে বলবেন- মাফ করবেন বা কিছু মনে করবেন না বলে নিন । কর্কষভাবে প্রশ্নের উত্তর দেয়া বাঞ্ছনীয় নয় । উচুঁ গলায় প্রশ্ন এলেও উচুঁ গলায় উত্তর দেয়া যাবে না । স্বাভাবিক স্বরে উত্তর দিন ।

৭) মুদ্রাদোষগুলো সম্পর্কে অত্যন্ত সচেতন থাকুন । গোঁফে হাত বুলানো, চুল ঠিক করা, নাক চুলকানো, টাই ঠিক করা, গলা দিয়ে শব্দ করা বা জামা কাপড়- ঠিক করবেন না । নিয়োগকর্তাগণ যদি করমর্দনের জন্য হাত বাড়ান তাহলে মোলায়েম ভাবে করমর্দন করুন ।

৮) আবেগতাড়িত হয়ে কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া যাবে না । উত্তর দেয়ার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন কোন ব্যাক্তি, সমষ্টি, জাতি, ধর্ম বা রাষ্ট্র সম্পর্কে কোন প্রকার অবমাননাকর বা অপ্রীতিকর কথা বেরিয়ে না যায় ।

৯) যে কোন বিষয়ে কোন অজুহাত না দেখিয়ে এবং কোন তথ্য সম্পর্কে ছলনার আশ্রয় না নিয়ে সততার পরিচয় দিন ।

১০) নিজেকে উপস্থাপন করুন আকর্ষণীয়ভাবে । যেমনটি কোন পণ্যের দক্ষ বিক্রেতা করে থাকেন । যেমন-
-নিয়োগকর্তা কী কী গুন আপনার মধ্যে খুঁজে পাবেন ।
-গুন ও মূল্যগত দিক দিয়ে প্রার্থী হিসেবে আপনি কেন অন্যদের থেকে আলাদা এবং আপনাকে নিলে নিয়োগকর্তা কিভাবে লাভবান হবেন ।
-প্রতিষ্ঠানের উন্নতির জন্য আপনি কতটা অপরির্হায হয়ে উঠতে পারেন ।
-আপনার উল্লেখ করার মতো কোন সাফল্যের বিষয় থাকলে বিনয়ের সাথে বলুন ।
পরিশেষে বিদায় নেবার সময় সবাইকে ধন্যবাদ দেয়ার পর, সালাম দিয়ে বিদায় নিন ।

সফল যারা কেমন তারা