জেনে নিন চার স্তর বিশিষ্ট ক্যারিয়ার প্লানিং পদ্ধতি - ক্যারিয়ার টিপস

Breaking

ক্যারিয়ার টিপস

ক্যারিয়ারে সফলতার জন্য সিভি লিখন, ভাইভা টিপস ও চাকুরীর খবর

Post Top Ad

জেনে নিন চার স্তর বিশিষ্ট ক্যারিয়ার প্লানিং পদ্ধতি

প্রয়োজনীয় শিক্ষা শেষে কোনো পেশায় প্রবেশের পূর্বে একজন ব্যক্তিকে ক্যারিয়ার পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হয়। বাংলাদেশের চাকরির বাজার তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ হওয়ায় এই পরিকল্পনা প্রণয়ন বিষয়টি সূক্ষ্ম পর্যবেক্ষণ এবং বিবেচনাপ্রসূত হওয়া প্রয়োজন। চাকরিপ্রার্থীদের জন্য চারস্তর বিশিষ্ট নিম্নলিখিত ক্যারিয়ার প্লানিং পদ্ধতিটি বিবেচনা করা যেতে পারে-
ক) আত্মপ্রকৃতি যাচাই : 
নিজের প্রকৃতিবিরুদ্ধ কোনো পেশা ব্যক্তির জীবনে সর্বাঙ্গীণ সফলতা আনতে পারে না। এ কারণে ক্যারিয়ার প্লানিং পদ্ধতির এই স্তরে একজন চাকরিপ্রার্থীকে মনে রাখতে হবে যে, প্রত্যাশিত চাকরিটি যেন তার সহজাত পছন্দ বা আগ্রহ এবং আদর্শ, বিশ্বাস ও মূল্যবোধের পরিপন্থী না হয় এবং ব্যক্তিগত বিশ্বাস ও আদর্শকে লালন করার অধিকার ক্ষুণ্ণ না করে। এছাড়া শিক্ষা এবং শারীরিক ও মানসিক দক্ষতাকে সামনে রেখে পেশা পছন্দ করা জরুরি। কারণ শিক্ষাজীবনে অর্জিত বিষয়ই যদি কর্মক্ষেত্রের বিষয় হয় তাহলে সেক্ষেত্রে অনেক সুবিধা হয়।
খ) পেশা নির্বাচনের উপায় : 
সীমিত ধারণার ওপর ভিত্তি করে ক্যারিয়ার হিসেবে কোনো পেশাকে ক্যারিয়ার পরিকল্পনায় নেয়া উচিত নয়। কাক্সিক্ষত পেশাটি ক্যারিয়ার পরিকল্পনায় স্থান দেয়ার আগে সে সম্পর্কে প্রয়োজনীয় পঠন-পাঠন এবং পরীক্ষা খুবই জরুরি। পেশা সম্পর্কে ধারণা ও তথ্য সংগ্রহের জন্য যে বিষয়গুলোর সাহায্য নেয়া যেতে পারে তার মধ্যে প্রধান হলো-
* সংশ্লিষ্ট পেশায় নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গের পরামর্শ।
* পেশাদার ক্যারিয়ার কাউন্সিলরদের কাউন্সিলিং বা পরামর্শ।
* পেশার ক্ষেত্রসমূহে (অফিস, আদালত, মিল, ফ্যাক্টরি ইত্যাদি) সরেজমিনে ভ্রমণ।
* খণ্ডকালীন চাকরি,Internship, Volunteer, সার্ভিসের মাধ্যমে পূর্বেই ধারণা নেয়া।
* সংশ্লিষ্ট পেশা সম্পর্কে লিখিত বই এবং তথ্যবহুল সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে।
গ) পেশা নির্দিষ্টকরণ : 
এই ধাপে একজন শিক্ষার্থী-
* সম্ভাব্য পেশাকে নির্দিষ্ট করবে।
* এই পেশাকে মূল্যায়ন করবে।
* ব্যতিক্রম কিছু থাকলে সেগুলোকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখবে।
* পেশা অর্জনের ক্ষেত্রে স্বল্পমেয়াদি এবং দীর্ঘমেয়াদি উভয় অপশনই নির্ধারণ করবে।
ঘ) প্রয়োজনীয় উপকরণ : 
প্রত্যাশিত চাকরিটি পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞানগত এবং উপকরণগত উন্নতি করার চেষ্টা করতে হবে। যেমন-
* প্রয়োজনবোধে অতিরিক্ত শিক্ষা বা ট্রেনিংয়ের উৎসগুলো তদন্ত করবে।
* চাকরি খোঁজার কৌশল নির্ধারণ করবে।
* জীবনবৃত্তান্ত লিখবে।
* চাকরির সাক্ষাৎকারের জন্য প্রস্তুতি নেবে।
* ভালো আবেদনপত্র লেখার অভিজ্ঞতা অর্জন করবে।
* প্রয়োজনে কোচিংয়ের সাহায্য নেবে।

সফল যারা কেমন তারা